নারদা মামলায় সিবিআই গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে রাস্তায় অবস্থান বিক্ষোভ শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কুশপুতুল দাহ করা হয়।
সোমবার পূর্ব বর্ধমানের মেমারি তারকেশ্বর রোডের জামালপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরাও।
এদিন সকালে রাজ্যের দুই মন্তী ফিরহাদ হাকিম,সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও বিধায়ক মদন মিত্রকে সিবিআই নারদ মামলায় গ্রেপ্তার করে। তারই প্রতিবাদে জামালপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মেহমুদ খানের নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখায়।
পাশাপাশি, এদিন দুপুরে পূর্ব বর্ধমানের আমড়ায় ২ নং জাতীয় সড়কে অবরোধ করেন দলের নেতা কর্মীরা।বিধায়ক নিশীথ মালিক এই অবরোধে নেতৃত্ব দেন।এখানে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান হয়।
এছাড়া দেওয়ানদিঘি মোড়ে বেশ কিছুক্ষণ রাস্তা অবরোধ করা হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা ও কর্মীরা এতে অংশ নেন।
অন্যদিকে,বসিরহাট মহাকুমার বাসন্তী হাইওয়ে, টাকি রোড, ইটিন্ডা রোডে দুই মন্ত্রী ও বিধায়ক গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভ দেখালো তৃণমূল নেতৃত্ব। নেতৃত্ব দেন রাজ্য তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সুরজিৎ মিত্র, রাজ্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সমীক রায় অধিকারী, বসিরহাট মহকুমাএসটি.এসসি.ওবসি সেলের সভাপতি শংকর সাহা স্থানীয় তৃণমূল নেতা-কর্মী সমর্থকরা। এদিন দুপুর ১.৩০ নাগাদ রাস্তার উপর টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়।
পাশাপাশি,বসিরহাট দুই নম্বর ব্লকের গোপালপুর মোড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে টাকি রোড অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে নিজাম প্যালেস তৃণমূলের দুই মন্ত্রী ও বিধায়কদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ঘটনাস্থলে মাটিয়া থানা পুলিশ প্রশাসন এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
সিবিআই দ্বারা চার তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করার প্রতিবাদে পাণ্ডবেশ্বরে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল কর্মীরা। তৃণমূলের অভিযোগ সিবিআই অনৈতিকভাবে তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীদের গ্রেপ্তার করেছে তারই প্রতিবাদ স্বরূপ পাণ্ডবেশ্বরের বিভিন্ন জায়গায় রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে, মোদির কুশপুতুল পুড়িয়ে বিক্ষোভ জানাল তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা।
এদিন বিক্ষোভের আঁচ পড়লো আসানসোলে।আসানসোল রাজপথে বিক্ষোভ করে তৃণমূল সমর্থকরা। আইএনটিটিইউসির নেতা রাজু আলুয়ালিয়ার নেতৃত্বে রাজপথে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে। রাজু আলুয়ালিয়া বলেন,পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি যে ভাবে গো হারা হেরেছে,সেটা মানতে পারছে না।তৃণমূলের প্রার্থীরা বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন প্রত্যেক বিধানসভা কেন্দ্র।
বিজেপির কাছে কোনো প্রার্থী ছিলো না,লোহা চোর,কয়লা চোর,মাফিয়া,জমি মাফিয়া তাদের কাছে প্রার্থী ছিলো।মানুষ তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছে,তাদেরকে পরাজিত করেছে বিপুল ভোটে। বিজেপি যে স্বপ্ন দেখেছিল পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতা দখল করবো। এবার দেখছে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বেরিয়ে গেলাম আর কিছু করতে পারবোনা। এবার বিজেপি কি করছে সিবিআই কে দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের ওপরে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।
কুলটির নিয়ামতপুরে টায়ার জ্বালিয়ে এবং অর্ধনগ্ন হয়ে বিক্ষোভ করেন তৃণমূল সমর্থকরা।কুলটি ব্লক তৃণমূলের যুব সভাপতি শুভাশীষ মুখার্জীর নেতৃত্বে পশ্চিম বর্ধমানের কুলটির নিয়ামতপুর মোড়ে অর্ধনগ্ন অবস্থায় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের নিয়ে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন।
শুভাশিস মুখার্জী বলেন, পশ্চিমবঙ্গের মানুষরা বিজেপিকে ধাক্কা দিয়ে বাংলা ছাড়া করে দিয়েছে। বিজেপি এখন নৃশংস ঘৃণ্য চক্রান্ত করার চেষ্টা করছে। ইডি এবং সিবিআইকে দিয়ে নারদা কেলেঙ্কারি কে সামনে রেখে আজকে আমাদের ৩ জন বিধায়ক, তার মধ্যে ২ জন মন্ত্রীযেভাবে বেআইনি ভাবে গ্রেফতার করেছে তার জন্য কুলটি ব্লক তৃণমূল যুব নেতৃত্ব প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে।
কিন্ত একটা জায়গায় খুব পরিস্কার কথা বিজেপি যদি মনে করে থাকে ইডি সিবি আই থেকে রাষ্ট্রপতি শাসন রাজ্যপাল কে সঙ্গে নিয়ে করবে সেগুড়ে বালি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক আমরা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক আমরা। আমরা জানি রাস্তায় নেমে লড়াই কি ভাবে করতে হয়। তাইতো ৩৪ বছরের বাম জমানকে তলমলিয়ে ২০১১ তে বাংলার ক্ষমতায় মা মাটি সরকারের প্রতিষ্ঠা হয়েছে।
আজকে রাম,বাম কংগ্রেস একজোট হয়ে যেভাবে প্রতারণার করার চেষ্টা করছে। বাংলার রায় যারা মানার চেষ্টা করছে না বাংলার মানুষ তা মেনে নিচ্ছে না। বাংলার মানুষ বের করে দিচ্ছে। তার প্রতিবাদে যুব তৃণমূল রাস্তায় নেমেছে।
আজ উত্তরপ্রদেশে নদীতে লাশ ভেসে আসছে। বারাণসীর সংসদ উনি,লজ্জা প্রধানমন্ত্রীর পাওয়ার কথা। গোটা ভারতবর্ষের মানুষ ভ্যাকসিন পাবে না কেনো, বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়া উচিত। আজ লকডাউনে মানুষ ঘরে কেনো, লজ্জ্বা আমাদের না। লজ্জা প্রধানমন্ত্রীর। আজ পশ্চিম বঙ্গে ১৫ দিনের জন্য লকডাউন করা হয়েছে। পশ্চিম বঙ্গে করোনা ছড়িয়ে দিয়ে চলে গেলো। এটা একটা ঘৃণ্য চক্রান্ত বলে মনে করছে তৃণমূল নেতৃত্ব।