কেন্দ্র ও রাজ্যের সহযোগিতায় কোভিড হাসপাতাল তৈরি করার পরিকল্পনা করা হয়েছিলো আগেই আর পশ্চিম বর্ধমান জেলাসশকের পরিদর্শনও করেছিলেন। নির্বাচন শেষ হতেই কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন প্রশাসন থেকে শুরু করে রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীরা।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে প্রত্যেকটা দিন যখন করোনা সংক্রমণ নতুন রেকর্ড ভেঙে এগিয়ে চলছে সাথে বাড়ছে মৃত্যু মিছিল। দেশের প্রত্যেক রাজ্য তথা জেলার মধ্যে দেখা যাচ্ছে অক্সিজেন হাহাকার। ঠিক তখন পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের বার্নপুরের ছোট দিঘারিতে কোভিড হাসপাতাল তৈরি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়।
এই বিষয়ে জেলাশাসক বিভু গোয়েল কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানিয়েছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের সমস্ত জেলাশাসক দের নির্দেশ দিয়েছেন, কি যতগুলো কোভিড হাসপাতাল চলছে অথবা যতগুলোকে কনভার্ট করতে পারি,
মে মাসের ৮ তারিখ প্রাইমারি পরিদর্শনে আসেন জেলা শাসক।স্টিল অ্যাথরাটি অফ ইন্ডিয়া সাহায্য করছে কোভিড হাসপাতাল তৈরির, যা আজ সম্পূর্ণ।পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের বার্নপুরে এদিন আনুষ্ঠানিক ভাবে ২০০ বেডের কোভিড হাসপাতাল চালু করা হল।
ছোট দীঘারি স্কুলকেই কোভিড হাসপাতাল হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন ও সেলের ইসকো কতৃপক্ষের যৌথ উদ্যোগে এবং এক বেসরকারি হাসপাতালের সহযোগিতায় এই কোভিড হাসপাতাল চালু করা হয়েছে। এদিন ২০০ বেডের কোভিড হাসপাতাল চালুর পাশাপাশি অক্সিজেনেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এই বিষয়ে সেল আই এসপি আধিকারিক অনুপ কুমার বলেন, অক্সিজেন ও কোভিড কেয়ার ইউনিট হাসপাতাল আজ থেকে শুরু করা হলো। এটা আমাদের বার্নপুরের আই এস পির একটা স্কুল। মন্ত্রণালয় থেকে অর্ডার ছিলো ৫০০ বেডের একটা কোভিড হাসপাতাল করার জন্য। আমরা শুরুতে ২০০ বেডের হাসপাতাল বানিয়েছি। আমরা নিজেদের প্লান্ট থেকে অক্সিজেন নিয়ে এসে এই হাসপাতালে দেবো। বাকি সিভিল,জল,ইলেকট্রিক সব ব্যবস্থা করা হয়েছে। সব কাজ কমপ্লিট, যেটা বাকি আছে সেটাও আজ হয়ে যাবে। তারপর রাজ্য সরকার কে হস্তান্তর করা হবে ।আমরা পুরো সাহায্য করবো। দরকার পড়লে আরও ৩০০ বেড বাড়িয়ে দেবো।
এরপরই হেলথ ওয়ার্ল্ডের কর্ণধার অরুনাংশ গাঙ্গুলী জানান করোনা কোভিড কেয়ার ইউনিট তৈরী হয়েছে মূলত ইস্কো তাদের উৎপাদিত অক্সিজেন এইখানে সরাসরি সরবরাহ করতে পারবে।করোনা আক্রান্ত রুগীদের জন্য শয্যার দরকার ছিল ইস্কো সে সমস্যার সমাধান করে দিয়েছে। রাজ্য সরকার এবং বেসরকারি হাসপাতাল যৌথভাবে এই ইউনিটে ভর্তি হওয়া রুগীদের চিকিৎসা করবে।
আপাতত ২০০ শয্যা এবং দশ শয্যার আই সি ইউনিট করা হয়েছে সেখানে প্রাথমিকভাবে গুরুত্ব পাবে কোভিড কেয়ার ইউনিটে ভর্তি হওয়া রুগীরা। চিকিৎসক এবং নার্স মিলে ৬৭ জন এখানে করোনা আক্রান্ত রুগীদের চিকিৎসা করবে। ওষুধ খাবার সহ সবকিছু নিয়ে নুন্যতম ৩০০০ টাকা প্রতিদিন ধার্য্য করা হয়েছে এবং আই সি ইউতে ৫০০০ টাকা প্রতিদিন হিসাবে ধার্য্য করা হয়েছে বলে জানান বেসরকারি হাসপাতালের আধিকারিক।