দুজনেই স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত। স্বামী আউশগ্রাম ২ নং ব্লকের একটি
স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যুক্ত। স্ত্রী জাতীয় সড়কের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালের
পুষ্টিবিদ। গত চারমাস যাবৎ তারা সামনে থেকে সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দিয়ে এসেছেন।
পালন করেছেন নিজেদের দায়িত্ব।
গত ৩০ জুলাই তারা কোভিড সংক্রমণের শিকার হন। তাদের বাড়িতে চারজন বয়স্ক মানুষ
আছেন। অসুস্থ হবার পর থেকে তারা হতবাক,যাদের জন্য তারা প্রাণপণে কাজ করেছেন তাদের একাংশ তাদের
বয়কট করে চলছেন। তাদের অচ্ছুৎ হিসেবে দেখা হচ্ছে। কোনো সহযোগিতা করা হচ্ছেনা। আরো
অভিযোগ কেউ সাহায্যে এগিয়ে এলে তাকেও বাঁধা দেওয়া হচ্ছে।নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কেউ
দিতে এলে বাঁধা দেওয়া হচ্ছে।ওই দম্পতির গাড়ির চালক তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র
বাড়ির বাইরে দিয়ে আসছিলেন। অভিযোগ তাকেও হুমকি দেওয়া হয়। পুলিশে অভিযোগ জানালে
পুলিশ আসে। কিন্তু অবস্থার খুব একটা পরিবর্তন হয়নি।
এতে খুবই হতাশ ওই চিকিৎসক এবং তার স্ত্রী।ওই মহিলা সমাজমাধ্যেমে এই অবিচারের
কথা তুলে ধরেন। এতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে প্রাচীন শহর বর্ধমানে। আজকের আধুনিক সময়ে এই
অতিমারির পরিবেশে এই একাকীত্বই কি প্রাপ্য ওই দুই কোভিড যোদ্ধার? প্রশ্নটা উঠছেই।